রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা গালফ এয়ারের পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় পরিবহন সংস্থাটির ভূমিকা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তার বোন তালা আল হেন্ডি।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে তার ভাই ঢাকার মেরিডিয়ান হোটেলে ছিলেন। রাত পৌনে ৩টার দিকে তিনি উঠে ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হন। পরে ভোর ৪টায় তিনি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়ার মাঝে পড়ে যান। এরপর তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ১৫ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইউসুফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুর জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালকে দায়ী করে এর লাইসেন্স বাতিল ও দায়িত্ব অবহেলার জন্য গালফ এয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা আল হেন্ডি দাবি করেন, ইউসুফ হাসান আল হিন্দির লাশ যখন আসে, তখন গালফ এয়ারের কর্মীরা ইউনাইটেড হাসপাতালের ডাক্তারদের রিপোর্ট দেখাননি। যেহেতু তারা তা করেননি, আমরা নিশ্চিত যে এর পেছনে একটি খারাপ উদ্দেশ্য ছিল এবং তারা তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, গালফ এয়ার তার ভাইয়ের মৃত্যুর পেছনে সঠিক যুক্তি খুঁজে না পেয়ে তাড়াহুড়ো করে লাশ কবর দিয়েছে। তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং গালফ এয়ার উভয় কর্তৃপক্ষেরই অবহেলা ছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি গালফ এয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, তারা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে গুলশান থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে গত ১৪ মার্চ আদালতে মামলা করলে, আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তালা আল হেন্ডি আরও অভিযোগ করেন, গত ৭ মার্চ গালফ এয়ারের ভূমিকা তদন্তের জন্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশকে (সিএএবি) ইমেইলের মাধ্যমে অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু সিএএবি বিষয়টি নিয়ে কোনো উত্তর দেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তালা আল হেন্ডির আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব, ব্যারিস্টার মহুয়া মোর্শেদ ও টাইমস পিআর-এর সিইও মিজান সোহেল।