ভোটের দিন অনিয়ম, গন্ডগোল, জবরদস্তি ও পেশি শক্তির প্রভাব খাটালে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর ভোট বন্ধ করার একটি নতুন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র ক্ষমতা সীমিত হওয়ায় ওই বিল উত্থাপনে আপত্তি জানান বিরোধীদলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
গতকাল বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) বিল-২০২৩ সংসদে উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে বিলের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, ভোটের দিন অনিয়মের কারণে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও পুরো নির্বাচনী এলাকার সব ভোট কেন্দ্র বন্ধ করায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। জবাবে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, জোর জবদস্তি, গোলযোগ, সহিংসতায় তদন্ত সাপেক্ষে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা (আরপিও ৯১ ক অনুচ্ছেদ) নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। তবে নতুন করে একটা সংশোধনী আনা হয়েছে যাতে যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে সেগুলো বন্ধ করতে পারবে। এতে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি, বরং ইসিকে শক্তিশালী করা হয়েছে।