শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে বল সুন্দরীর চমক

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে বল সুন্দরীর চমক

বলসুন্দরী। নামটা অদ্ভুত। হবে দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। খেতে তার চেয়েও মজাদার। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকলে সিঁদুরলাল, কমলা কিংবা হলুদ। দেখতে অনেকটা আপেলের মতো। তবে আকারে ছোট। রসালো এ ফলের গন্ধও অতুলনীয়। তাই এর নাম বলসুন্দরী। সম্ভাবনাময় এ বলসুন্দরী চাষ ছড়িয়ে পড়ছে রাঙামাটিতে। চাহিদা বেশি। তাই বেচাবিক্রিও বেশি। বলসুন্দরী চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। এবার রাঙামাটিতে বলসুন্দরী ফলনে চমক লেগেছে বলছেন চাষি সুশান্ত তংঞ্চঙ্গ্যা। রাঙামাটি মগবান ইউনিয়নের সোনারাম কার্বারী পাড়ারবাসিন্দা তিনি। প্রায় ১০ একর জমিজুড়েই তার আছে বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী ও আপেল কুলের বাগান। তবে এখন তার বাগান বলসুন্দরীর দখলে। প্রতিদিন তার বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয় ২০-৪০ কেজি কুল। এরই মধ্যে অর্ধ লাখ টাকার কুলও বাজারজাত করেছেন তিনি। একই কথা জানান, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের বাসিন্দা লাভলী চাকমা। সখের বসে নওগাঁ থেকে চারা সংগ্রহ করে বলসুন্দরী বাগান করেন তিনি। প্রায় ৭০টি গাছ আছে তার বাগানে। মাত্র ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি চারা গাছে বলসুন্দরী ফলন এসেছে বাম্পার। ব্যাপক ফলন দেখে আকর্ষণ বেড়েছে স্থানীয়দের। বলসুন্দরী অন্যান্য কুলের তুলনায় একটু বড় আকারের। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, বাউকুল, আপেল কুল, কাশ্মীরি কুলের চেয়ে এখন বেশি চাহিদা বলসুন্দরীর। শুধু রাঙামাটি নয়, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বলসুন্দরীর চাষাবাদ হচ্ছে। এবার রাঙামাটিতে ২১৬ হেক্টর, খাগড়াছড়িতে ৮০ হেক্টর ও বান্দরবান জেলায় ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫৪৬ মেট্রিক টন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর