শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা

গোপালগঞ্জে পাঁচ মাদরাসাশিক্ষক জেলখানায়

রাজশাহীতে শিক্ষককে গণপিটুনি

প্রতিদিন ডেস্ক

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওই মাদরাসার পাঁচ শিক্ষককে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় এক সহকারী শিক্ষককে গণপিটুনি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণকারী বড় হুজুর ইসমাইল হোসাইনসহ পাঁচ শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গতকাল মাদরাসাশিক্ষক ইসমাইল হোসাইন, আওলাদ হোসেন ওরফে আসাদুজ্জামান, মাসুমবিল্লাহ, আল-আমিন ও আমেনা বেগমকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মুকসুদপুর আমলি আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মুকসুদপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, বৃস্পতিবার রাতে মাদরাসাশিক্ষার্থীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় বড় হুজুর ইসমাইল হোসাইন, মাদরাসাশিক্ষক আওলাদ হোসেন ওরফে আসাদুজ্জামান, মাসুমবিল্লাহ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মিজানুর রহমান মিজু ও আমেনা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইসমাইল হোসাইনের রুমেই ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে আসামিরা স্বীকার করেছেন। এ কাজে ওই পাঁচ শিক্ষক বড় হুজুরকে সহযোগিতা করেন। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয়। ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক আসামি মাদরাসাশিক্ষক মিজানুর রহমান মিজুকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

রাজশাহী : বাঘায় এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে সহকারী প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই গণপিটুনির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল (৫০) ক্লাস চলাকালীন নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর (১৪) ওড়না ধরে টান দেন। ওই শিক্ষার্থী রেগে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তার প্রতি অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। এতে ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তখন স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালকে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনির শিকার শিক্ষক বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুল আজম জানান, ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর