রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আইএমএফ চায় করকাঠামোর ব্যাপক সংস্কার

কর অবকাশ সুবিধাও বাতিলের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেট ঘাটতি কমাতে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতে করকাঠামোর ব্যাপক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশেষ করহারের স্লাবে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে করে ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আহরণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে করযোগ্য যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান করের আওতার বাইরে রয়েছে তাদেরকে করের আওতাভুক্ত করা যাবে। এতে করে রাজস্ব ঘাটতি কমবে বলে মনে করে আইএমএফ। ঢাকা সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করছে। অর্থবিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠকে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে শিল্প খাতে চলমান ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধাও বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে এনবিআরের ধারাবাহিক বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় করার আগে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আগের শর্ত পূরণ নিয়ে ঢাকা সফরে রয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। দীর্ঘদিন ধরে কর অবকাশ প্রাপ্ত শিল্প খাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে আইএমএফের পরামর্শ হলো ন্যূনতম ১০ বছর ধরে সুবিধা পাওয়া শিল্প খাত থেকে কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করে করের আওতায় আনলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। যা বাজেট ঘাটতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে আইএমএফ। ১০ বছর ধরে কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া শিল্প খাতের মধ্যে রয়েছে- ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স শিল্প, অটোমোবাইল, বাইসাইকেল, গাড়ির টায়ার, নির্মাণ সামগ্রীর স্বয়ংক্রিয় ইট কিংবা রড, রপ্তানি করে এমন কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, পোলট্রি শিল্প, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্প ও মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ। এমন অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের শিল্প কর অবকাশের আওতায় রয়েছে। জানা গেছে, এর আগে গত মাসে আইএমএফের একটি কারিগরি দল এনবিআরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। সেখানেও কর অবকাশ সুবিধা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এবার সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলটিও এসব পরামর্শ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর