রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রোকেয়ার স্মৃতি কেন্দ্রে ফুটেছে কুরচি ফুল

নজরুল মৃধা, রংপুর

রোকেয়ার স্মৃতি কেন্দ্রে ফুটেছে কুরচি ফুল

বিরল শুভ্রতা ও সুগন্ধিতে অনন্য পাহাড়ের কুরচি ফুল রংপুর অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু এ ফুলটিই ফুটেছে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা সংলগ্ন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামের দক্ষিণ পশ্চিম কোনায়। এ ফুল সিলেট, বান্দরবান, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় জন্মালেও উত্তরাঞ্চলের সমতলে এটি বিরল। বাংলা একাডেমির পরিচালনাধীন বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, করোনাকালীন শিথিলতায় এ ফুলগাছটির চারা রোপণ করা হয়েছিল। কুরচির কুটজ কিংবা গিরিমল্লিকা নামেও পরিচিতি আছে। শীতের শেষে সব পাতা ঝরে যায় ক্ষুদ্র বা মাঝারি আকারের এ বৃক্ষটির। ফুল ফোটার মৌসুম বসন্তের শেষভাগ থেকে গ্রীষ্মকাল। কোনো কোনো গাছে বর্ষা পর্যন্ত ফুল থাকে। সাদা পাঁচ পাপড়ির থোকায় ধরে কুরচি ফুল। কুরচির কাণ্ড সরল, বাকল অমসৃণ ও হালকা ধূসর রঙের। পাতা অনেকটা ডিম্বাকৃতির। সাদা সাদা ছোট ফুলে ফোটে।

ভেষজগুণে ভরা এ ফুল। বৃক্ষটির ফুল, বাকল ও ফল থেকে তৈরি হয় আমাশয়ের ওষুধ। ফুল রক্তদোষ, পাতা বাত ও ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, বীজ অর্শ্ব ও একজিমায় উপকারী। সর্প দংশন এবং বিছার কামড়েও বাকল ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে। আসামে কুরচি কাঠের কবজ ব্যবহার হয়। নরম কাঠ থেকে তৈরি হয় খেলনা ও পুতুলও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর