বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যমটি গতকাল ভুল স্বীকার করে তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য প্রতিবেশী দেশে যদি কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ তৈরি হয়ে থাকে এ জন্য আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।’ এর আগে ইন্ডিয়া টুডে এনইর অনলাইন ও এক্স অ্যাকাউন্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানায় নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডে এনইসহ সব সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক থাকার এবং ইস্যুটির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বস্তুনিষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদন নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই হাইকমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে লিখিত প্রতিবাদ পাঠান মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ। বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও ওই প্রতিবেদন ও পোস্ট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারপরও এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ওই প্রতিবাদে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই ভুল সংবাদ ও পোস্টে আমি চরম হতাশা প্রকাশ করছি। হাইকমিশন বলেছে, যে কোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের ভুল তথ্য ও গুজবনির্ভর সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে; এমনকি সংকটে ইন্ধন জোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে।
অধিকন্তু সংবেদনশীলতার বিষয় মাথায় না রেখে এ ধরনের প্রতিবেদন করা কেবল জনগণ ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না; বরং যে কোনো সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।