কোটা আন্দোলন চলাকালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে একজন নেতা ৪ লাখ টাকা দেন। সেই টাকা কীভাবে কোন খাতে খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, নূরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। নূর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। তিনি ৪ লাখ টাকা নূরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কী জন্য সেই নেতা নূরকে টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। হারুন অর রশীদ বলেন, এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক এমপি আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নূরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর আগে বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি আন্দালিব রহমান পার্থকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে পার্থর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।