বাংলাদেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও কানাডা। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ যেন দ্রুত সাংবিধানিক নিয়মে ফিরে আসে, সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। গতকাল দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, কানাডা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানায়। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূলনীতির পাশে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। সাম্প্রতিক সপ্তাহে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মৃত্যু, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং প্রাণঘাতী বল প্রয়োগ করা হয়েছে। কানাডা এর তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা পুনর্ব্যক্ত করছি। তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে সম্মান ও সমুন্নত রাখার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানাই। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার এবং সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি পূর্ণ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা অত্যাবশ্যক।
মেলানি জোলি বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে কানাডা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক শাসন এবং শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ঢাকা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, জুলাইয়ের সরকারবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় নিহত দায়ীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভা পদত্যাগের খবর বাংলাদেশি গণমাধ্যম জানিয়েছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দূতাবাস আরও জানায়, বিক্ষোভে রাশিয়ার কোনো নাগরিক আহত হয়নি। বাংলাদেশে যে কোনো পরিবর্তন হলেও মস্কো যে ভিত্তির ওপর কাজ করে সেটা হলো, তা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আশা করি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ যেন যত দ্রুত সম্ভব সাংবিধানিক নিয়মে ফিরে আসে।