শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগের খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
দেশের ২৯ জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ঘটেছে বলে দাবি করেন তারা। এ ঘটনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সোমবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খুলনা জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী অমিত ও যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিমেষ সরকার রিন্টুর শহরের টুটপাড়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরায় জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু এবং ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত ঘোষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, ফেনী শহরের দুর্গা মন্দিরে হামলা; দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালী মন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর; ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নেত্রকোনা সদরে রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকন মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এ সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সবাইকে সহিংসতা পরিহার করে ধৈর্যশীল আচরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণের সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।