শেয়ারবাজারে কারসাজি ও অনিয়মে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যদের সংগঠন ডিবিএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে প্রভাব বিস্তারকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ আয়ের অভিযোগ রয়েছে।
শেয়ারবাজার ধ্বংসকারী বহু অসৎ ব্যবসায়ী বাজারে রয়েছে। তদন্ত করে এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনা সময়ের দাবি। গতকাল দেশের ‘শেয়ারবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ-এর পক্ষে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। রাজধানীর শাহবাগের একটি ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ব্রোকারেজ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এ সরকার একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং উন্নত রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে। তারা সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিত করে দেশকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধিশালী করবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ সরকারকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। বাজার পতনের কারণ ও দোষীদের খুঁজে বের করতে ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর প্রয়াত ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা বাজার কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আজও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই কারসাজি চক্র আরও সক্রিয় হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা, কারসাজি রোধে বাজারে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ভালো মানের আইপিও এনে বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনা, প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের ন্যায় ভয়াবহ অরাজকতা বন্ধ করা, কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার নিয়ে তারা বাজারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আইপিওর নামে অনুপযুক্ত, দুর্বল, মানহীন, দেউলিয়াগ্রস্ত কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এখন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানানো হয়।