বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহত ২০ জনের লাশ এখনো পড়ে আছে রাজধানীর তিন মর্গে। মর্গের ডোমরা বলছেন, লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের চেনা যাচ্ছে না। আর এদের খোঁজ করতেও আসছেন না কেউ। থানার কার্যক্রম প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায় সেগুলোর সুরতহালও হয়নি। এতে লাশগুলো পচে ফুলে গেছে, আর দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ লাশের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আছে আটটি, ঢামেক মর্গে নয়টি এবং শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে তিনটি।
ঢামেক সূত্র বলছে, তাদের মর্গে থাকা নয়টি লাশের দুটি উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে, তিনটি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে এসেছে। ঢামেক মর্গে দায়িত্ব পালন করা শাহবাগ থানার কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, এখন পর্যন্ত আসা লাশের মধ্যে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেগুলো তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭টি লাশের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কয়েকটি লাশ সড়কে পড়েছিল কয়েকদিন, লাশগুলো ফুলে এমন অবস্থা হয়েছে সেগুলোর বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনটি বডি পুড়ে গেছে। এগুলোর কিছু করা যাচ্ছে না। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে। শনাক্ত না হওয়া লাশগুলো দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান জানান, তার হাসপাতালে ৫ আগস্টের পর তিনটি লাশ এসেছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। গত কয়েকদিনের সহিংসতার সময় তাদের মৃত্যু হয়েছে।