সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এখনো দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকাগ্রন্থি ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মধ্য আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। চলে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও। এ রোগের লক্ষণগুলো অনুভব করলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে ২১ দিনের মধ্যে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কোনো দেশ ভ্রমণ করলে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার পরও মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা গেলে সন্দেহভাজনদের দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ শাখা সূত্রে জানা যায়, মাঙ্কিপক্স যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দর, নৌপথ ও অন্যান্য প্রবেশ পয়েন্টগুলোতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে। আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া। গত শুক্রবার পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করেছে তারা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এমপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স একপ্রকার সংক্রামক রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লুর মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হলেও জরুরি ব্যবহারের জন্য মাঙ্কিপক্সের টিকাগুলো দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।