স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমেই ঝামেলাবিহীন কলা চাষ করে অধিক লাভবান কৃষক। লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরের কৃষক ঝুঁকছে কলা চাষে। দিনাজপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অনেক কৃষক কলার চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। বছরের সব সময়ই কমবেশি কলা চাষ হয় এখানে। তবে বেশির ভাগ কলা চাষ হয় কাহারোল উপজেলায়। দিনাজপুরের উৎপাদিত সাগরকলার খ্যাতি দেশজুড়ে। শুধু সাগর কলা নয়, সবরি, সুন্দরী (মালভোগ), চিনিচম্পা কলারও চাষ হয় এ এলাকায়। আর কাহারোলের দশমাইল এলাকায় বসে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বড় কলার হাট।
দশমাইল মোড় ছাড়াও তেরমাইল গড়েয়া এবং রানীরবন্দর বাজার থেকে কখনো প্রতিদিন ২০-৩০ ট্রাক কলা যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শ্রাবণের শেষ সপ্তায় শুরু করে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত ফল তোলার সময়। ভোর ৫টায় ভ্যানে এ হাটে বিক্রির জন্য কলা আনতে শুরু করেন চাষি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ হাটে স্থানীয় কলা ব্যবসায়ী আছেন দেড় শতাধিক। হাটের বাইরে থেকে আসা ব্যাপারীদের সঙ্গে চলে দরকষাকষি। কেনাবেচা শেষে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে কলা তোলা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয় হাটের কারবার। সকালে মাঠজুড়ে সারি সারি সাজানো কলার কাঁদি। হাটে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় চাষি, ব্যবসায়ী, পাইকারদের। প্রতিটি কলার কাঁদি বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, গতবার প্রতিটি কলার কাঁদি কিনেছেন ৩০০-৩৫০ টাকা দরে। সে হিসেবে এবার কাঁদিপ্রতি দাম ১০০ টাকা বেড়েছে।