সাবেক সেনা কর্মকর্তারা গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এ ছাড়া সহযোগিতা করেছেন আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পিলখানা হত্যাকা নিয়ে সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কথা বলেন।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মতিন বলেন, শুধু অপারেশন ডালভাত বা রেশন বৃদ্ধির জন্য পিলখানা হত্যাকা ঘটেনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর উদ্দেশ্যে এ হত্যাকা । এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক, ছিল অন্য একটি দেশের চক্রান্ত।
তিনি বলেন, এ হত্যাযজ্ঞের রেশ ধরেই এসেছে ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ভোটারবিহীন নির্বাচন, শিক্ষাব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংস, দুর্নীতির মহোৎসব, গুম-খুনের অবাধ রাজত্ব। এ ঘটনায় অনেকে চাকরি হারান, অনেকে পদোন্নতিবঞ্চিত হন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাযজ্ঞের বিচার না করা হলে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা হলে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া নতুন স্বাধীনতা মুখ থুবড়ে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোরশেদুল হক, কর্নেল (অব.) আবদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আমিনুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
