ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক দুই এমপি এবং এক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন- ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খান, পাবনা-৫ আসনের সাবেক এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নুর। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়টি জানানো হয়।
দুদক জানায়, গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান মুরগি মার্কেট, সাদেক খান শুঁটকি মার্কেট, সাদেক খান ইট মার্কেট, সাদেক খান বালি মার্কেট, সাদেক খান বস্তি ও পেট্রলপাম্প নামে সব সম্পত্তি দখল করে তৈরি করেন। এ ছাড়া তার নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
আর গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রিন্স পরপর তিনবারের এমপি। তার নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়াও তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নুরের বিরুদ্ধেও নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা জানিয়েছে দুদক।