জোড়া লাগানো শিশু আলাদা করার ক্ষেত্রে আবারও সাফল্য পেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এবার দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে শিফা ও রিফা নামে সংযুক্ত যমজ দুই শিশু আলাদা করেছেন ৮২ জনের একটি চিকিৎসক দল। অপারেশনের পর ওই দুই শিশু ভালো আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাদশা মিয়া ও মাহমুদা আক্তার দম্পতির মেয়ে শিফা-রিফা। ২০২৩ সালের ৭ জুন জন্ম হয় বুক-পেট জোড়া লাগানো এ দুই শিশুর। তাদের আলাদা করার অপারেশনটি হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানোর কথা রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। রিফা-শিফার জটিল অপারেশনের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের ইউনিট-৪ এর প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহানূর ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে রিফা সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে শিফার রক্তের সংক্রমণ রয়েছে। সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে। দুই শিশুকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যাতে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি খেয়াল করা যায়।
ঢামেকে এর আগে ২০২২ সালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের লাল মিয়া-মনুফা বেগম দম্পতির জোড়া লাগানো যমজ সন্তান লাবিবা-লামিসাকে আলাদা করা হয়। ২০১৭ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জোড়া লাগানো তোহা-তৌফা ও ২০১৮ সালে পাবনার রাবেয়া-রোকাইয়াকেও আলাদা করেন চিকিৎসকরা।