মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালে চিত্রনায়িকা পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকার আদালতে পরীমণি জবানবন্দি দেন। এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি আদালতে জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। তবে গত বছর ২৪ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দিতে ইতস্ততবোধ করেন পরীমণি। পরে তার আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারকাজ করার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আজ সেই ক্যামেরা ট্রায়ালে মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।
চিত্রনায়িকা পরীমণির জবানবন্দির পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ জানুয়ারি পরীমণিকে জেরার তারিখ ধার্য করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) জানান, ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে পরীমণির মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। সেদিন বোট ক্লাবে পরীমণির সঙ্গে কী ঘটেছিল, তিনি আদালতকে তা সবিস্তারে জানিয়েছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি তাকে জেরার জন্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরীমণি আদালতে হাজির হন। সোয়া ২টার পর পরীমণি জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। জবানবন্দি শেষে ৩টা ৩৫ মিনিটে এজলাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা যায়, মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলার আসামিরা হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। নাসির উদ্দিন ও অমি অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাদের পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন। ২০২২ সালের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।