সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম এবং সাবেক এমপি ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেন। সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে ভুয়া প্রশিক্ষণ বিল উত্তোলন, ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কাবিখার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বর্তমানে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে সাবেক এমপি ইকবালুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, লাকীর বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, নিয়োগবাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন। নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে অবৈধভাবে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।