বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা চোখের পানিতে কারও কাছে কিছু চাইব না। আমরা বকশিশ চাই না, ভিক্ষা চাই না। আমরা হিসাবের পাওনা চাই। আজ না হয় কাল, কিংবা পরশু আমাদের হিসাবের পাওনা দিতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা আর থামানো যাবে না। আমরা একটি সরকারের অপেক্ষায় আছি- যে সরকার মানুষের কথা বুঝবে, মানুষের দাবি পূরণ করবে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ডাকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল বিকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, পানি কখনো মারণাস্ত্র হতে পারে না, যুদ্ধাস্ত্র হতে পারে না। বিশ্বে একমাত্র ভারত দেখিয়ে দিল পানিকে তারা মারণাস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। কতটুকু অমানবিক হলে তারা এই কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু তিস্তা নয়, বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক আগেই তিস্তা পানি হিস্যা আদায় করতে পারতাম, যদি হাসিনার মতো চাটুকার সরকার না থাকত। পানি নিয়ে তারা কোনো দিনই কথা বলেনি। অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আমরা বলছি ও সিলেটের ইলিয়াস আলী বলেছিল। সুরমা নদীর বাঁধ নিয়ে আন্দোলন করায় ইলিয়াস আলীকে গুম ও হত্যা করা হয়। ভারত কখনো প্রতিবাদী মুখ সহ্য করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু দেনা-পাওনা আছে। আমাদের ট্রানজিট আছে, আমাদের মোংলা, চট্টগ্রাম পোর্ট আছে। প্রয়োজনে হিসাব-নিকাশ করব। আমাদের যেটি প্রয়োজন সেটা না পেলে আমরাও ছাড়ব না। আমরা তিস্তা-ফারাক্কাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি চাই। তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসাসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত উত্তরের আট জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা।