নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- চকলেংগুরা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) ও কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সোহাগের সঙ্গে ঝুমার বিয়ে হয়। সোহাগ রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের প্রায় দুই বছর বয়সি একটি মেয়ে রয়েছে। বৃদ্ধ শ্বশুর একটি ঘরে ও অন্য ঘরে তারা স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। গতকাল সকালে শিশুটির কান্না শুনে বৃদ্ধ নানা ও প্রতিবেশীরা গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। এদিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কীর্তুনিয়া ইউসুফ আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আরিফ হোসেন (৩২) ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গতকাল কীর্তুনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আরিফ ওই গ্রামের আবদুল মালেক ভূঁইয়ার ছেলে। আটক আসাদুল্লাহ একই গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ছাড়া গাজীপুরে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সিটি করপোরেশনের আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রফিকুল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার ফুলবাড়ী গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।
তিনি গাসিকের আমবাগ এলাকায় গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড নামে একটি কারখানার সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন মোবাইলে ফোন করলে রফিকুল ফোন রিসিভ করেনি। পরে তার অফিসের লোকজনসহ পরিচিতদের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তারা রফিকুলের ভাড়া বাসায় গিয়ে তার ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তারা তালা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে রফিকুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’