ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাঠে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী কাঠগোলাপ গাছ। শহরের কোলাহল, আদালতের ব্যস্ততা আর প্রতিদিনের বিচারযাত্রার মাঝেও গাছটি শত বছরের স্মৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকের চোখে এটি নিছক একটি বৃক্ষ হলেও প্রবীণ আইনজীবীদের কাছে অসংখ্য গল্পের নীরব দর্শক।
প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, গাছটি আদালত প্রতিষ্ঠার প্রারম্ভিক সময়ে রোপণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে ছায়ার উদ্দেশে এটি রোপণ করা হয়েছিল। এরপর কেটেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, বদলেছে আদালতের ভবন, তবুও গাছটি রয়ে গেছে একই জায়গায়, নীরবে সময়ের সাক্ষী হয়ে।
প্রবীণ আইনজীবীরা বলেন, ‘এ গাছটি আমাদের জীবনের অংশ। তরুণ বয়সে দুপুরে এখানেই বসে নোট পড়তাম, চা খেতাম। জয়-পরাজয়ের সব গল্পের সাক্ষী এই গাছ। দীর্ঘ বিচারযাত্রায় অসংখ্য মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশার সাক্ষী থেকেছে গাছটি।’ সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছটির গায়ে সময়ের দাগ। বাকলে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। প্রতিদিন সূর্যের আলো এসে পড়ে এর পাতায়। বিকালে পাখিরা আসে বিশ্রাম নিতে। চারপাশে কংক্রিটের দালান আর গাড়ির ভিড় বাড়লেও গাছটি আদালতপাড়ার সবুজের আশ্রয় হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। আইনজীবী সমিতির অনেক সদস্যের দাবি, এটি শুধু প্রকৃতির অংশ নয়, বিচারব্যবস্থার ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী। তাই গাছটিকে ‘ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক।