জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে দিতে হবে। আগে জুলাই সনদের ভিত্তি তৈরি করতে হবে। জুলাই সনদ হবে জাতীয় নির্বাচনের ভিত্তি। অথচ একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণকে সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের কারণে একটি বড় দল দুই থেকে তিনজন উপদেষ্টাকে প্রভাবিত করে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে জাতির রক্তস্নাত আকাক্সক্ষা ধুলায় মেশানোর চেষ্টা করছেন।’ গতকাল রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে জামায়াতের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালে। সংবিধানের অনেক ধারা ও অনুচ্ছেদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন তা-ও সংবিধানে নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান নেই। সুপ্রিম কোর্টের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে এ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। কিন্তু এ রেফারেন্স কখনো ক্ষমতা গ্রহণের ভিত্তি হতে পারে না। সে কারণে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন সংবিধানে নেই, প্রধান উপদেষ্টা সংবিধানে নেই; সুতরাং জুলাই সনদের মাধ্যমে সব বিষয়ে আইনি ভিত্তি দেওয়া যেতে পারে। আর গণভোটের মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ভোটার যদি এটিকে মেনে নেয় তাহলে সেটি হবে জুলাই সনদের গণভিত্তি।’
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘একই দিনে গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন দেওয়ায় জনগণকে সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ঘোষণা সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিন। তা না হলে নতুন সংকট তৈরি হবে।’
দৌলতপুর থানা জামায়াতের আমির মু. মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। বক্তৃতা করেন মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী ও খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আযম হাদী।