রাজধানীর বাজারে ফের বেড়েছে সবজির দাম। এ ছাড়া তিন সপ্তাহ আগে শতকের ঘরে পৌঁছানো পিঁয়াজের দামও কমেনি। বাণিজ্য উপদেষ্টার হুঁশিয়ারিতেও পিঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দেশি পিঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আমদানি না থাকায় সরবরাহও কমেছে। তাই দাম কমছে না।
গতকাল শান্তিনগর ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। শীতকালীন সবজিও বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পিঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের দামও বেশি হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে বেশ অস্বস্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে শীতকালীন সবজি শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ছোট ফুলকপি পিস ৪০-৫০, মাঝারি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১২০-১৪০ টাকায়। বাজারে কেজিপ্রতি গোল বেগুন ৭০-৮০ ও লম্বা বেগুন ৫০-৬০, পটোল ৫০-৬০, করলা ৭০, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০, ঝিঙ্গে ৫০, ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে পেঁপে ৩০-৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, দেশি শসা ৫০-৭০ ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মুলা কেজিপ্রতি ৫০-৬০, বাঁধাকপি ৫০ ও লাউ ৮০-১২০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ৬০-৭০, আলু ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। বাজারে মানভেদে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এ ছাড়া দেশি আদা ১২০-১৪০, ভারতীয় আদা ১৯০, রসুন দেশি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৭৮০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম কিছুটা কম। বাজারে মানভেদে রুই ২৫০-৩৫০ টাকায় কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কাতল ৩৫০, পাঙাশ ১৫০-২০০, তেলাপিয়া ১৬০-২০০, চিংড়ি ৬৫০-৭০০, মাঝারি কই ২৮০-৩০০, দেশি শিং ৬৫০-৭৫০, শোল ৬৫০, সুরমা ৩০০, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০, আর ছোট আকারের (৪০০-৫০০ গ্রাম) ইলিশ ১ হাজার টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।