ভারতের রাজনীতিতে ভাই রাহুল গান্ধীর চেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বেশি জনপ্রিয় বলে একটা আলোচনা আছে। অনেকেই তো মনে করেন রাহুলের জায়গায় প্রিয়াঙ্কা দলের হাল ধরলে কংগ্রেসের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকায় কে? এ কারণে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব কাজে লাগাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এজন্য ভোটের আগে দলে তাকে বড় পদও দেওয়া হয়, কিন্তু তার সেই জনপ্রিয়তা কোন কাজে এসেছে?

বিবিসি বাংলার খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। তিনি প্রচার চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, নোটবন্দী বা ডি-মনিটাইজেশান এবং কৃষকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করার নীতির বিরুদ্ধে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। কিন্তু তিনি নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে তিনি যেখানে গেছেন যা করেছেন তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যম বিপুলভাবে উৎসাহী ছিল।

মন্দিরে, মাজারে যেখানে তিনি গেছেন, তা মূল সংবাদে সবসময় স্থান পেয়েছে। তার মা সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা রায়বেরিলিতে সাপুড়েদের গ্রামে যখন তিনি গেছেন, তখন সাপ হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ মাধ্যমে। মধ্য ভারতে তাকে দেখা গিয়েছিল বেড়া টপকে জনতার মাঝে চলে যেতে, যখন তার নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরতে দৌড় দেন।

কিন্তু এত কিছুর পরও দেখে মনে হচ্ছে কংগ্রেস পার্টির ভাগ্য পরিবর্তনে তার সব উদ্যোগ কার্যত বিফল হয়েছে। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, তিনশ'র বেশি আসন নিয়ে আবারও ক্ষমতার পথে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে রাহুলের কংগ্রেস সর্বসাকুল্যে ১০০টির মতো আসন পেতে পারেন।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে, ২০১৯/মাহবুব