বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেছেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রাণ ছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বীরোত্তম জিয়াউর রহমান। মূলত আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে, দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির হাজার বছরের যে ধারাবাহিক সংগ্রাম, ৭ নভেম্বর তার অন্যতম উজ্জ্বল শিখর। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতাশীন হন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। কোনো পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেও তিনি ক্ষমতায় আসেননি। তিনি ক্ষমতাশীন হয়েছিলেন বিপ্লবের সদর দরজা দিয়ে। তাকে ক্ষমতাশীন হতে হয়েছিল জাতীয় স্বার্থে, জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে। জাতির প্রয়োজনে কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’
আজ সোমবার বিকাল ৩টায় ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর হেলাল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। বর্তমানে দেশনায়ক তারেক রহমান জনগণকে নিয়ে দেশের ক্রান্তিকালের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কাণ্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার।’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন। ফ্যাসিবাদের ভয়াল থাবায় যখন ছাত্র আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই জাতীর কাণ্ডারীর ভূমিকায় এই আন্দোলনকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন দেশনায়ক তারেক রহমান। দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রক্তে ভেজা বিপ্লবকে সফল বলা যাবে না। গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলে জনমনে অসন্তোষ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কারের সময়কাল নির্ধারণ করা না হলে লক্ষ্যে পৌঁছানো ক্রমান্বয়ে কঠিন আকার ধারণ করবে। দুই সহস্রাধিক শহীদের রক্তে অর্জিত বিপ্লবকে সফল করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। দেশনায়ক তারেক রহমানের ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বে বিএনপি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকের হোসেনের সভাপতিত্বে, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াসউদ্দিন চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মো. অহিদুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ শুক্কুর কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাস সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি প্রমুখ।
বিডি প্রতিনিধি/জুনাইদ