সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

শূন্যতার অস্ফুট শব্দহীন

রবিউল হুসাইন

দীর্ঘ দিগবলয়ে শূন্যতা হ্রস্বতায় রূপ নিলে আকাশ

পেখম খুলে একটি ক্ষুদ্র ময়ূরের বর্ণময় বিপরীতে কেউ

কাছে এলে মনে হয় দূরের আকাশ গঙ্গায় তারার দলে

কোন কোন নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরে পতিত হয়ে আর একটি

 

জীবন পরিধি পাড়ি দেয়ার ছাড়পত্র পেয়ে পরিতৃপ্ত

কিছু কিছু পাহাড় আছে যেসবের উচ্চতা নেই ঊধের্্ব

বরং নিচের গভীরতা নিরূপণ করে এরকম সিদ্ধান্ত হয় যে

উচ্চতা আর গভীরতা একই একটি অন্যটির পরিপূরক

 

শূন্যে উড়াল দিলে পাখি আর সমুদ্রের জলপাড়িতে মৎস্য

তাহলে কী দাঁড়ায় পায়ের ওপর ভর করে নাকি হাতের ওপর

এসবের উত্তর মানুষের জ্ঞানের বাইরে মৌমাছি পিঁপড়ে

আর মাকড়সার কাছে নিঃসীম অন্ধকার খাঁ খাঁ প্রান্তর

প্রজ্বলিত হুতাশন আলোচ্ছ্বল নীরবতা নিয়ে সাষ্টাঙ্গে সমর্পিত

সবই সবার সার্বিকতায় নিঃঝুম উদাসীনতায় চোখ বুঁজে অন্ধ

দেহকে পদদ্বয়ের বদৌলতে দ্রুততায় দৌড় আর মন্থরতায়

অন্যরকম হন্টন অথবা স্থিরতায় অাঁততায়ীর হাতে লুণ্ঠন

 

তখন দিকে দিকে এই কথাই প্রতিধ্বনিত আকাশ অস্তিত্বহীন

বাতাসে শূন্যতার অস্ফুট শব্দহীন ভাষা যে ভাষাতে সবাই

মনের ভাব প্রকাশ করে কোন কথা না বলে নীরবে নিভৃতে

এটিই ব্রহ্মাণ্ডের মাতৃভাষা যেমন কবিতা মানব জাতির

 

দুঃখ কষ্ট আনন্দ হর্ষ ভালোবাসা ঘৃণা তাহলে এমতগুলো কী

মানুষের বোধানুভব নিপীড়ন অবিচার অত্যাচারেও অমলিন

এতসবের ভেতর সূর্য ঠিকই আলো দেয় চাঁদ দেয় জোছনা

সমুদ্র বৃষ্টি দেয় নদীর কূলে কূলে মানব বসতি শস্যমোহনা

 

মানুষ কষ্ট পেলে শূন্যতা কেঁদে ওঠে আকাশে মেঘ ডাকে

সুদূর সাইবেরিয়ার দিকে পরিযায়ী পাখি সব উড়ে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে

পথ ছিল সড়ক নেই পরিণতি ছিল পরিসর নেই তবে ছিল নিকটেই

সবকিছু লুকানো পুরনো ক্ষয়ে যাওয়া জংধরা স্মৃতিপ্রত্নরহস্য পেছনেই।

 

 

সর্বশেষ খবর