বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ

কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ

কারখানার পরিবেশ উন্নত করতে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা। গ্রাহক পর্যায়ে এই ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি থেকে এ ধরনের ঋণ সুবিধা দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। গত মঙ্গলবার এক সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, পুনঃঅর্থায়ন এই ঋণ সুবিধা কারখানার পরিবেশ উন্নত করা ছাড়াও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব খাতেও ব্যবহার করা যাবে। ফলে এখন থেকে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগের পানি উত্তোলন, পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্প, পরিবেশ-বান্ধব কারখানা স্থাপন এবং পোশাক কারখানার কর্ম-পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তারা কম সুদে ব্যাংক ঋণ পাবেন। তবে পৃথক পৃথক খাতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সম্পর্কিত স্কিম ভিন্ন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএর সদস্যভুক্ত তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও টেঙ্টাইল শিল্পপ্রতিষ্ঠান যাদের নিজস্ব কারখানা রয়েছে তাদেরকে কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ বিশেষ করে অগি্ননির্বাপক সামগ্রী, অগি্ন প্রতিরক্ষামূলক সামগ্রী, ছাদ ও ভূ-গর্ভে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাম্পসহ পানি সংরক্ষণাগার নির্মাণের জন্য এই ঋণ দেওয়া যাবে। এই ঋণ পেতে হলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই রেজিস্ট্রার অব জয়েন স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধিত এবং বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএর সদস্য হতে হবে। এ খাতে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে দেওয়া হবে। সুদসহ ঋণ পরিশোধের জন্য ৯ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ পাঁচ বছর সময় পাবেন ঋণগ্রহীতা। এদিকে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে সৌরশক্তিচালিত পাম্প ব্যবহার করে ভূ-উপরিস্থ পানি উঠিয়ে পরিশোধের মাধ্যমে পান উপযোগী করে সরবরাহ করার প্রকল্পেও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে। এ ধরনের প্রকল্পে সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন দেওয়া হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিলে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদ হার ৯ শতাংশ হবে। আর কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনজিও লিংক ব্যবহার করে ঋণ দেয় তাহলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদ হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ হবে। ৯ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরের মধ্যে সুদ-আসলে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রাকৃতিক আলো, বাতাস, পানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যেসব শিল্প গড়ে উঠবে সেখানেও এই পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ দেওয়া যাবে।

তবে প্রতিষ্ঠানের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল অথবা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন থেকে 'গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি' হিসেবে প্রত্যয়ন পেতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা জারি হলে তখন সরকারের প্রত্যয়ন হলেই হবে। এ ধরনের প্রকল্পের স্থানীয় ব্যয়, আমদানি ব্যয় ও পূর্ত কাজের জন্য সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া যাবে। গ্রাহক পর্যায়ে এর সর্বোচ্চ সুদ হার হবে ৯ শতাংশ। ৯ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ছয় বছরে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি দিতে হবে। এ ছাড়া এ ধরনের ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই রেজিস্ট্রার অব জয়েন স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধিত হতে হবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর