সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

আগামী বছরের মধ্যে টেলিকম খাতে ৮ লাখ কর্মসংস্থান

এরিক অস
সিইও, বাংলালিংক

মানিক মনুতাসির

আগামী বছরের মধ্যে টেলিকম খাতে ৮ লাখ কর্মসংস্থান

বাংলাদেশের টেলিকম খাতে সম্প্রতি বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে এই খাতের সার্বিক উন্নতির জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বিবেচনা করা জরুরী। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে টেলিকম খাতে ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এরিক অস বলেন, এ মুহূর্তে মূলত তিনটি বিষয় বিবেচনায় আনা প্রয়োজন (ক). অপারেটরদের উপর অতি উচ্চ মাত্রার কর, (খ). স্পেকট্রামের অতি উচ্চ মূল্য ও (গ). একটি অপারেটরের আধিপত্য। উচ্চ মাত্রার করের বোঝা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা অপারেটরদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। তাছাড়া স্পেকট্রামের জন্যও অপারেটরদেরকে উচ্চ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সামগ্রিকভাবে টেলিকম খাতের পরিস্থিতি অপারেটরদের জন্য এতোটাই কঠিন হয়ে পড়েছে যে, একটি বাদে কোনো অপারেটরই লাভজনক অবস্থানে নেই।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে টেলিকম খাত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে বলে জানান এরিক অস। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করার পাশাপাশি পরোক্ষভাবেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে টেলিকম খাত। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের  জিডিপিতে এই খাতের অবদান ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। জিএসএম’র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল নাগাদ দেশের টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে আট লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্ট করবে। যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। টেলিকম সেবার মতো নির্ভরযোগ্য একটি যোগাযোগের মাধ্যম মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে সেটিকে তারা বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকা-কে ত্বরান্বিত করতে পারে। বর্তমানে কলড্রপ নিয়ে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলালিংকের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কলড্রপের বিষয়টিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পূর্বেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত বছর ৩০০০ কোটি টাকারও অধিক ব্যয় করে আমরা বিটিআরসি আয়োজিত নিলামে সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পেকট্রাম ক্রয় করি। নতুনভাবে যোগ হওয়া এই স্পেকট্রামসহ অন্যান্য কিছু কারিগরি উন্নয়নের কারণে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে বাংলালিংক-এর কলড্রপের হার সবচেয়ে কম। বিটিআরসি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলালিংক-এর কলড্রপের হার মাত্র .৫৮%, যা নির্ধারিত সীমা ২%-এর অনেকটা নিচে। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে যে, কলড্রপের সমস্যাটিকে আমরা সফলভাবে সমাধান করতে সমর্থ হয়েছি। পরিশেষে এরিক অস বলেন, একজন টেলিকম বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে কাজ করার কারণে আমার এদেশের অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জীবনযাত্রা উপভোগ্য মনে হয় বলেই আমি দীর্ঘ সময় ধরে এখানে একজন পেশাজীবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর