২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৫৪

‘বঙ্গবন্ধুর চিন্তার কেন্দ্রে ছিল মানুষের কল্যাণ’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘বঙ্গবন্ধুর চিন্তার কেন্দ্রে ছিল মানুষের কল্যাণ’

বঙ্গবন্ধু এমন মানুষ ছিলেন, যিনি অসংখ্য অন্ন ও বস্ত্রহীন মানুষের ব্যবস্থাপনার সাথে সাথে পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করতে পেরেছিলেন। কেননা তার চিন্তার কেন্দ্রেই ছিল কীভাবে মানুষের কল্যাণ করা যায়। তিনি তার নিজস্ব ও পারিবারিক দর্শন থেকেই এমন কাজ করতে পেরেছিলেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’র দ্বিতীয় বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ এবং ‘উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’ যৌথভাবে এর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে ‘ডিজাস্টার রিস্ক গভার্নেন্স ইন বাংলাদেশ: কন্টিবিউশনস অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এবং অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু তার নিজস্ব দর্শন ও পারিবারিক দর্শন থেকেই সর্বদা প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাসে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এই স্বীকৃতির জন্য আজ আমরা গর্বিত।

দুর্যোগ মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র ও পরিবেশ সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপ তুলে ধরে ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বনায়নের প্রয়োজনীয়তা বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় তিনি গাছ লাগানোর কথা, সুন্দরবন বাঁচানোর কথা বলেছিলেন। নদী রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে নদী কমিশন গঠন করেছিলেন। তিনি এর গুরুত্ব বুঝেছিলেন। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এবং অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও সূদরপ্রসারী চিন্তাভাবনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ও ত্রাণ তৎপরতা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর