২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৪

হরিণাকুন্ডুতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

হরিণাকুন্ডুতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হৃদস্পন্দন বাড়ছে প্রার্থীদের মধ্যে। আগামী শনিবার ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার নির্বাচন। তাই পাড়া মহল্লা পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মাইকিংয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার পরিবেশ। প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

বুধবার হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে সবর্ত্রই উৎসবমুখর পরিবেশ। আইনশৃংখলা রক্ষায় টহল জোরদার করা হয়েছে। পৌর এলাকার ৯টি ভোট কেন্দ্র ঝুকিপূর্র্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও অজানা আশংকা দিন দিন ভর করছে ভোটারদের মাঝে।

কারণ হিসেবে ভোরটাররা জানান, বিএনপি একক প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগে একজন শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। আবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও অনেকের মধ্যে মান অভিমান কাজ করছে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে বিভেদ আর ফাটল ধরেছে বলে নৌকার সমর্থক ও ভোটারদের অভিমত। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধা দ্ব›দ্ব কাজ করছে। ইতিমধ্যে দলের হাইকমান্ড হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোর্য়াদ্দার ও বর্তমান মেয়র রিন্টু ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিকের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা টানু মল্লিকসহ ৬ জনকে দল থেকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বহিষ্কৃৃতরা দাবি করেন, হরিণাকুন্ডু পৌর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইলেও জেলা রাজনীতির বলি হয়েছেন তারা। যার প্রভাব পড়েছে ভোটারদের মধ্যে। 

তবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান জানান, হরিণাকুন্ডু পৌর নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ফারুক হোসেন (আওয়ামী লীগ), ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জিন্নাতুল হক (বিএনপি), ইসলামী আন্দোলনের নাসির উদ্দীন হাত পাখা প্রতীক নিয়ে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসাবে জগ প্রতীক নিয়ে সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বি›দ্বতা করছেন। হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩৯৩ ও মহিলা ভোটার ৮৬৮৩ জন রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান, তৃনমুলে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। ভোটাররাও নৌকার প্রতি আস্থা জানাচ্ছেন। ফলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

বিএনপি প্রার্থী জিন্নাতুল হক জানান, এটা হচ্ছে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার ও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তাই জয় পরাজয় নিয়ে ভাবছি না। তবে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারলে ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু জানান, নির্বাচনে প্রভাব ও পেশী শক্তি ব্যবহার না হলে আমি বিপুর ভোটে জয়ী হবো। তিনি বলেন, বেশির ভাগ তরুণ ভোটার আমার জন্য কাজ করছে। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর