২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:২৩

পৌর নির্বাচন: রায়পুরে বাড়ছে উত্তেজনা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

পৌর নির্বাচন: রায়পুরে বাড়ছে উত্তেজনা

পৌরসভা নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তাপ। ৬ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর গণসংযোগ, মাইকিং, পোস্টার ব্যানার, লিফলেট, মিছিল-মিটিংয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরশহর। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পেশাদার শিল্পীদের কণ্ঠে রেকর্ড করা গানের তালে তালে প্রার্থীদের গুণকীর্তন করে চলছে প্রচারণা। 

কেউ কেউ স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ঘোষণা করছেন ইশতেহার। অনেকেই আবার বিগত দিনে দায়িত্বশীলদের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে ভোটারদের ভোট প্রদানে সচেতন থাকার অনুরোধও জানাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীদের সংখ্যাই বেশি। প্রচার-প্রচারণায় প্রবীণদের চাইতে নবীনরা অনেক এগিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়পুর পৌরসভার ভোট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৬৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৯৯০ জন ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৬৪১ জন। এখানে ৯টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩টি। প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মেয়র পদে ৬, সাধারণ পদে ৫০  ও সংরক্ষিত নারী পদে ৭ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট (নৌকা), পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম জিলানী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক মনির আহম্মেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. নাছির উদ্দিন সগির (পানির জগ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর শ্রমিকলীগ নেতা মাসুদ উদ্দিন (নারিকেল গাছ) এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওলানা আব্দুল খালেক (হাতপাখা)।

নৌকার প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং সরকারের কাছ থেকে বরাদ্ধ আনতে এখানে নৌকার বিকল্প নেই। আমি নেতা নই, জনগণের সেবক হতে চাই। আমি, আমার পরিবার ও দল জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, এখানে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে অনেকটা ঢিমেতালে। এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক শোডাউন করে তারা কোনো ওয়ার্ডে কর্মী সমাবেশ করতে পারেননি। তবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানো, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা। রয়েছে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও প্রচারে বাধাসহ সাধারণ অভিযোগও। রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে এ ধরনের লিখিত অভিযোগ করেছেন ধানের শীষ ও মোবাইল প্রতীকের দুই মেয়র ও একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী।

রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার দীপক বিশ্বাস বলেন, ভোট গ্রহণে ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রচারণা নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। সব অভিযোগই তদন্ত করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে পাঠানো হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর