পঞ্চম ধাপে পৌর নির্বাচনে চট্টগ্রামে মেয়র পদে বারইয়ারহাট ও রাঙ্গুনিয়ার দুটি পৌরসভায় অন্য দলের কোন প্রার্থী না থাকায় ভোটযুদ্ধ হবে নৌকা-ধানের শীষে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা স্ব স্ব নির্বাচনী মাঠে থেকে প্রতি ওয়ার্ডেই চষে বেড়াচ্ছেন নেতা-কর্মী নিয়ে। বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠকের পাশাপাশি উপস্থিত হচ্ছেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও। 

অন্যদিকে হুমকি, ভয়ভীতির কারণে প্রচারণার মাঠে তেমন দেখা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কৌশলী প্রচারণায় রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনী নিয়মানুযায়ী ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চারটি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে বারইয়ারহাট, মিরসরাই, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান পৌরসভা। এদের মধ্যে বারইয়ারহাট ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী রয়েছেন চারজন। 

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলম মিয়াজী এবং রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বর্তমান মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকি দুই পৌরসভা রাউজানে আওয়ামী লীগের জমির উদ্দিন পারভেজ ও মিরসরাইয়ে গিয়াস উদ্দিন মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় এই পদে আর ভোট হচ্ছে না। অন্য পদগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে।

বারইয়ারহাট পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছি। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান করছি।

ক্ষোভের সঙ্গে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও দরের মনোনীত মেয়র প্রার্থী দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, এখানে তো মিছিল, মিটিং ও প্রচার-প্রচারণা এক প্রকার নিষিদ্ধ। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে কোন রকম নিজেকে রক্ষা করেই প্রচারণা করছি নামেমাত্র। তিনি বলেন, পরিবারের উপর বাড়িতে ৩-৪ বার হামলা হয়েছে। বাড়িতে আছি এক প্রকার অবরুদ্ধ। দল মনোনয়ন দিছে, তাই নির্বাচন করছি। তবে ভোটের দিন আদৌ ভোট দিতে পারব কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। কারা হামলা, হুমকি দিচ্ছেন এমন প্রশ্নে সঠিক উত্তর দেয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।

কমিশন সূত্রে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামে ৫ম ধাপে চার পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট হবে নির্বাচন। রাউজান পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়া পথে রয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বাকি তিন পৌরসভার একটিতে মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে না। তাছাড়া তিন পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১০৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ২০ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর