রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

১৯৮৯ সালে শুরু মঙ্গল শোভাযাত্রা

১৯৮৯ সালে শুরু মঙ্গল শোভাযাত্রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পয়লা বৈশাখ সকালে এ শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন অনুষঙ্গের উপস্থাপনায়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো হয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা সবার কাছে বৈশাখী উৎসবের অন্যতম একটি আকর্ষণ হয়ে আছে। শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালাকার চারুকর্ম পুতুল, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিচিত্র মুখোশ ও সাজ-সজ্জাসহ বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকার হাতি, বাঘের প্রতিকৃতির কারুকর্ম। কৃত্রিম ঢাক আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ডসহ মিছিলটি নাচে-গানে উৎফুল্ল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ ধারা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এ আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।

সর্বশেষ খবর