ফসলি সনে জমির খাজনা আদায় করতেন জমির মালিক। পাওনাদার মিটিয়ে দিতেন বাকি। পাড়া-পড়শি, ক্রেতা-বিক্রেতাকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করেই নতুন করে বছর শুরু করতেন কৃষক, ব্যবসায়ী, জমিদাররা। পুণ্যাহ আর হালখাতা বাংলা নববর্ষের শেকড় বললে ভুল হবে না। এখন পুণ্যাহ তেমন পালন না হলেও হালখাতার প্রচলনটা রয়ে গেছে। ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্কটা ঝালিয়ে নিতে হালখাতা খুলে বসেন বিক্রেতা বা দোকানদার। পুরনো বছরের পাওনা, বাকি যা আছে মিটিয়ে দিয়ে ক্রেতাও নতুন করে বাকির খাতা খুলতেন। দেনা-পাওনার হিসাব চুকিয়ে তারপর মিষ্টিমুখ করত দুপক্ষই। আবহমান গ্রাম-বাংলায় ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক রচনার এই মাধুর্য্য হালখাতা অনুষ্ঠানেই কেবল দেখা যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছোট-বড় মাঝারি যে কোনো দোকানেই হালখাতার উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। মূলত পঁচিশে বৈশাখের সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বী দোকানি ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও বিত্তের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন এই কামনায় যে, তাদের সারা বছর যেন ব্যবসা ভালো যায়।