শিরোনাম
৫ মে, ২০২৩ ০০:০৮

ছুটির দিনে ইসির জরুরি বৈঠক, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আজমত উল্লাকে আবারও নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছুটির দিনে ইসির জরুরি বৈঠক, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আজমত উল্লাকে আবারও নোটিশ

আজমত উল্লা খান। ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে গাজীপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রীকে এবং নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ‘শেষবারের মতো’ সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রার্থীর প্রচারে অংশ নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।

এদিন সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আকস্মিক সভায় বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ অংশ নেন।

ইতিমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকে সতর্ক করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেয় কমিশন। নৌকার মেয়র প্রার্থীকে ৭ মে ইসিতে তলব করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ফের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে সভা করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাপক তৎপরতার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও প্রতিমন্ত্রীকে সামলাতে বৃহস্পতিবার ছুটির দিনে সন্ধ্যায় সিইসি অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দলীয় পর্যায়ে তাগাদা দেওয়ার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি দেওয়ার পরও ইসির নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইসি। এ অবস্থায় জরিমানা, জেল, উভয়দণ্ড এবং সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো আরেকবার সতর্ক করা হচ্ছে। ছুটির দিনে সন্ধ্যায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, ‘সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের উপস্থিতিতে গাজীপুরের বিষয়টি নিয়েই শুধু আজ বেশ গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। সতর্ক করার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা তো চাওয়া হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রীকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে ইসি সচিবালয় থেকে। এখন পুনরাবৃত্তি ঘটলে কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪ মে প্রতিমন্ত্রী সভা করে মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ার পরও মেয়র প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে এ পত্র পাঠানো হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর