বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। এ আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় বসুন্ধরাস্থ আপন ফ্যামিলি মার্টের পাশেই এ আয়োজন করে বসুন্ধরায় বসবাসকারীদের একটি ফেসবুক গ্রুপ ‘বসুন্ধরা নেইবারহুড’।
সেখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
শোকের কালো ও রক্তঝরা সময়ের লাল রংয়ের পোশাকে উপস্থিত হন সবাই। সবার হাতে ছিল প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি, বুকে শোক। শতাধিক মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় জাতীয় সংগীত। শহীদদের শ্রদ্ধাভরা স্মরণে তারা গেয়েছেন ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’, ‘মুক্তিরও মন্দিরও সোপানও তলে কত প্রাণ হলো বলিদান’।
এ আয়োজনে ফারাতুল জান্নাত, কাওসার হাসান, সৈয়দা শাকিলা হায়দার, রওনক জাহান রিশা, রাফিয়া চৌধুরি, মাহা করিম, দিলারা রহমান মিলিসহ শতাধিক বসুন্ধরাবাসী উপস্থিত ছিলেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে সবাই একসাথে
সেখানে সৈয়দা শাকিলা হায়দার প্রস্তাব রেখে বলেন, “এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এখন প্রাণভরে দোয়া করা ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে। তবে যারা আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারি কিনা। আমরা বসুন্ধরা নেইবারহুড গ্রুপ থেকে যে যার সাধ্যমতো টাকা দিলে একটা ফান্ড গঠন করতে পারি। তাদের চিকিৎসার কিছুটা হলেও দায়িত্ব নিতে পারি।”
এ প্রস্তাবে সবাই আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণে সদিচ্ছার কথা জানান।
এর আগে বসুন্ধরাবাসী দুপুরে আবাসিক এলাকায় প্রবেশের গেটে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন। বসুন্ধরা গেটের দু’ পাশে অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোকেও সামনের অংশ পরিষ্কার রাখার অনুরোধ জানানো হয়। এতে রেস্টুরেন্টের মালিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্মতির কথা জানান।
বিডি প্রতিদিন/একেএ