সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও দুবাই থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানিসহ ৯টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে চলতি অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৪-এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ‘মেসার্স অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড’ এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৫৫.৫৯ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
বৈঠকে ট্রেডিং কর্পোরশন অব বাংলাদেশ’ (টিসিবি)-এর জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশটির দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিডেনটোন এফজেডসিও’ এ তেল সরবরাহ করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি লিটার তেল ১৬৪ টাকা ২১ পয়সা দরে এতে ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
বৈঠকে টিসিবি’র জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি আমদানির আরেকটি পৃথক প্রস্তাব অেনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিল/ভারত/দুবাই উৎসের এ চিনি সরবরাহ করবে ইস্তানবুলের প্রতিষ্ঠান ‘বেগালতা ড্যানিসম্যানলিক হিজমেলেরি’। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি চিনি ৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা দরে এতে ব্যয় হবে ৭৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
বৈঠকে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো’র ‘ওসিপি নিউট্রিক্রপস’ থেকে (৮ম লট, ঐচ্ছিক-২য়) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি আরব-এর সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮ম লটের আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৭০৯.৩৩ ডলার দরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টন ৩৯৯.১৬ ডলার দরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১৯৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলাধীন দুটি পৃথক প্যাকেজের পূর্ত কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাহিরপুর উপজেলাধীন প্যাকেজ কাজটি করবে যৌথভাবে এমএল ও এমএইচ। এতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৬৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
আর ধর্মপাশা উপজেলাধীন প্যাকেজ কাজটি করবে যৌথভাবে ‘মেসার্স হামীম ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘মো. রাসেল পিটার’। এতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ২৪ হাজার টাকা। (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজ কাজের পূর্ত কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি করবে ‘তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৭৮ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
এছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ)-এর অধীনে ‘বে টার্মিনাল প্রকল্প’ বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)। ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ এতে ব্যয় হবে ৩২ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত