শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করুন : ফখরুল

সরকারকে অবিলম্বে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার সব অশুভ পরিকল্পনা থেকে সরকারকে সরে আসার জোরালো আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ব্যাংকটির ওপর এ সরকার প্রতিহিংসার খড়গ সর্বদা ঝুলিয়ে রেখেছে। ড. ইউনূসকে অপমান করাই যেন সরকারের প্রধান এজেন্ডা। এই ধারাবাহিকতায় ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংক তদন্ত কমিশনের সুপারিশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার চূড়ান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক তদন্ত কমিশন ব্যাংকটির আইন কাঠামো পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত তদন্ত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এ ব্যাংক থেকে গরিব মানুষের মালিকানা গায়ের জোরে কেড়ে নেওয়া হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদলে ১৯টি বা ততোধিক ক্ষুদ্র গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত করা অথবা প্রায়-প্রাইভেট ব্যাংকে পরিণত করার যে সুপারিশ তদন্ত কমিশন করেছে, তাতে সরকার 'নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করা'র নীতিই গ্রহণ করেছে।

তদন্ত কমিশন কর্তৃক ব্যাংকের মালিকানা শতকরা ৫১ শতাংশের বেশি সরকারের মালিকানায় রাখার সুপারিশের প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নামক যে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানটির ৯৭ শতাংশ মালিক মহিলা, সেই ব্যাংকের আইন কাঠামো পরিবর্তন করে সরকার নিজের হাতে পরিচালনা করার নীলনকশা এঁকেছে। এটা বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ ব্যাংকের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়বে। মির্জা ফখরুল বলেন, দরিদ্র নারী-পুরুষের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বন্ধ করে শুধু ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

সর্বশেষ খবর