শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

\\\'আইএলও কনভেনশনের ভিত্তিতে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে\\\'

\\\'আইএলও কনভেনশনের ভিত্তিতে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে\\\'

'শ্রমিক স্বার্থ ও বাংলাদেশের শ্রম আইন' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান শ্রম আইনে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হলে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর ভিত্তিতে শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এবং পছন্দমতো নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, আইএলও কনভেনশনের ভিত্তিতে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ৩০ শতাংশ শ্রমিক সদস্য বাধ্যতামূলক করায় এক প্রতিষ্ঠানে তিনটির বেশি ইউনিয়ন করা যাবে না। যা আইএলও কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন (ডবি্লউএফটিইউ) বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডবি্লউএফটিইউ বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান। জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ-এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি শিরিন আখতার, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বিলসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। 
রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান শ্রম আইনে শ্রমিকদের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটেনি। শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। বিদেশি দাতা বন্ধুদের সন্তুষ্টির জন্য শ্রমিক আইন হওয়া উচিত নয়। 
বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অধিকাংশ ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা শ্রমিকদের কথা না বলে রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবি আদায় করতে হলে রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর