বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাল দলিলে ৮১ একর জমি দখল দুদকে মামলা

পাবনার সমাজ মৌজার আরএস ভলিউয়ম বই খতিয়ানের ২টি পাতা সরিয়ে টেম্পারিং করে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি ৮১ একর জমি ভোগদখল ও আত্দসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। পাবনা সদর থানায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার সিতলাই জমিদার যোগেশ চন্দ্র মৈত্র ১৯৬৫ সালের শেষ দিকে সহায়-সম্পদ ফেলে ভারতে চলে যান। ওই জমিদারের নামে এসএ রেকর্ডে জেলার চাটমোহর উপজেলার ২৯ নম্বর সমাজ মৌজার ২৬ নম্বর খতিয়ানে ১৪০টি দাগে ৮৪.২২ একর সম্পত্তি রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে আরএস রেকর্ডে খতিয়ান পরিবর্তন হয়ে আরএস ৮১৫ নম্বর খতিয়ানে ওই জমিদারের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের নামে এই জমি সঠিকভাবে রেকর্ড হয়। আরএস রেকর্ডে সে জমি ৯২৩, ৯২৪, ৯২৫ নম্বর পাতায় ঢাকায় প্রেসে ছাপিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসের মাধ্যমে প্রকাশ ও ভলিউম বাঁধাই শেষে ভূমি জরিপ অধিদফতর থেকে পাবনার বিভিন্ন দফতরে প্রদানের জন্য পাবনা সেটেলমেন্ট জোনাল অফিসে প্রেরণ করেন। জোনাল অফিস থেকেই ওই চক্র ৮১৫ নম্বর খতিয়ানের ২টি পাতা সরিয়ে ফেলে বাহির থেকে জাল পাতা ছাপিয়ে টেম্পারিং করে সিতলাই জমিদার যোগেশ চন্দ্র মৈত্রের স্থলে ভুয়াভাবে ১৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

যার সব তথ্যই দুদকের তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো চাটমোহরের হরেন্দ্র নাথ সেনের ছেলে বৈদ্যনাথ সেন, বৈদ্যনাথ সেনের ছেলে সন্তোষ সেন, মৃত শুধাংশু কর্মকারের ছেলে বিশ্বনাথ কর্মকার, মৃত খোন্দকার খবির উদ্দিনের ছেলে খোন্দকার আবদুল কুদ্দুস, মৃত ইরাদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম মহসিন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ওমর আলীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক, আজিম উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম, রব্বেল আলীর ছেলে আলী জব্বার, মৃত এলাহী বঙ্রে ছেলে আবদুল বাতেন, মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমান, আইয়ুব আলীর ছেলে আবুল হাসেম, মৃত ময়েন মৃধার ছেলে আনসার মৃধা, মৃত হাজী মহিউদ্দিনের ছেলে ফরহাদ নাসিম সরকার, আলহাজ শফিকুল ইসলাম, আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন সরকার, মৃত আবু বকরের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন।

দুদক পাবনা অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, চাটমোহর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম মহসিন নামের এক ব্যক্তি তহসিলদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেসহ ১৭ জনের একটি চক্র এই জালিয়াতি করেন বলে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসানুল হক মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হলেও আমাদের কিছুই করার নেই। মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দিবে দুদক।

সর্বশেষ খবর