শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আবার সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য আবারও ভ্রমণ সতর্কবার্তা হালনাগাদ করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। রাজধানীর হোসনি দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের জমায়েতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আগের সতর্কবার্তাই চতুর্থবারের মতো হালনাগাদ করা হলো। ওয়াশিংটন সদর দফতরের পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য এই সতর্কবার্তা হালনাগাদের আগের দিন নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের নতুন করে সতর্ক করে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে মার্কিন নাগরিকদের জন্য গতকাল প্রচারিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ২৪ অক্টোবর সকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিয়া সম্প্রদায়ের আশুরা উপলক্ষে মিছিলে এ হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। আইএসের দায় স্বীকারের একটি দাবি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা বিদেশিদের ওপর হামলার শঙ্কা এখনো বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য। এ কারণে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও নাগরিকদের সর্বদা সতর্ক থাকা, বিশেষত জনসমাগম স্থান পরিত্যাগ করা, হেঁটে বা সাইকেল-মোটরসাইকেলে চলাফেরা ও আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই হালনাগাদ বার্তায়। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবার সতর্কতা জারির পর ১ অক্টোবর, ১৬ অক্টোবর ও ১৭ অক্টোবর সতর্কবার্তা হালনাগাদ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এর আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে শনিবার ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে যুক্তরাজ্য সরকারের হালনাগাদ করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঢাকায় শিয়াদের সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সীমিতভাবে চলাচলের জন্য আগে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা বজায় থাকবে। এখানে বড় মাপের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। পশ্চিমাদের ওপরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, শিয়াদের ওপর হাতবোমা হামলায় একজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার তার নাগরিকদের এই সময়ে শুধু গাড়িতে করে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছে। একই সঙ্গে জনাকীর্ণ স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। সতর্কতার মাত্রায় কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশে চলাচলের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার সতর্কতা গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই এ ধরনের সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। সে সময় প্রথম বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলা হতে পারে এমন ব্রিটিশ গোয়েন্দাতথ্যের ভিত্তিতে সতর্কতা জারি করেছিল যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। পরে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ঘটনাক্রমে সেপ্টেম্বরের শেষে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় এই দেশগুলোর পাশাপাশি জাপান, কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, হংকংসহ আরও কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়। বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি বিদেশি প্রতিনিধির সফর বাতিল হয়। ঢাকায় স্পেনসহ একাধিক রাষ্ট্রের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়। সর্বশেষ শনিবার নির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করে জাতিসংঘ।

সর্বশেষ খবর