বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
মিয়ানমার নির্বাচন

শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি

প্রতিদিন ডেস্ক

শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নেতা থেইন সেইন প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্বাচনে ‘অনেকটা’ জয়ী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। এ অবস্থায় আলোচনায় বসতে দেশটির সেনাপ্রধান, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন এনএলডি প্রধান অং সান সু চি।

চিঠিতে সু চি লিখেছেন, ‘নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের ইচ্ছার প্রকাশ করেছে। আমি আগামী সপ্তাহের কোনো এক সময়ে আপনাদের সুবিধাজনক সময়ে সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসতে চাই।’

 

গতকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন (ইউইসি) দেশটির তিন স্তরের সংসদের নিæকক্ষের ১৫১টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে। এতে ১৩৫টিই গেছে এনএলডির ঝুলিতে। সেই সঙ্গে উচ্চকক্ষের ঘোষিত ৩৩টি আসনের মধ্যে দলটি ২৯টিতে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া প্রাদেশিক সভার ঘোষিত ২১২টি আসনের মধ্যে ১৮৪টিতে জয় নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গতকাল সুখবর প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা ঘটেছে সু চি সমর্থকদের। এনএলডির এই নেত্রী তার নিজ আসনে জয় পেয়েছেন বলে এদিন ফল ঘোষণা করে ইউইসি। তবে দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবং নিজ আসনে জয় নিশ্চিত করলেও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে অং সান সু চির বাধা এখনো কাটেনি। দেশটির সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের কারণে তিনি এ পদের প্রার্থী হতে পারবেন না।

মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি কোনো নাগরিকের সন্তান, পিতামাতা কিংবা স্বামী-স্ত্রী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। প্রয়াত স্বামীও বিদেশি।

তবে এ বাধাকে কোনো বাধা হিসেবেই মানছেন না সু চি। নির্বাচনের আগেই তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলে রেখেছেন, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্টকেও টপকে যাবেন তিনি। এ ব্যাপারে সংবিধানে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।

এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ধরনের জয়ের পরেও সু চির সমর্থকেরা এখনো মনে ভয় পুষিয়ে রেখেছেন। তাদের ভয় ক্ষমতার পালা বদলে ফের কোনো সমস্যা হবে না তো! কারণ ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চি জয়লাভ করলেও সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতা না দিয়ে সু চিকে বন্দী করে রাখে। তারা অধীর আগ্রহে এনএলডিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এএফপি।

সর্বশেষ খবর