বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
খুলনায় মির্জা আজম

পাট মানেই দেশপ্র্রেম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, পাট নিয়ে এ দেশে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিগত দিনে বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এশিয়ার বৃহত্তম জুট মিল আদমজী বন্ধ করে দেন। এর ফলে বাংলাদেশের আড়াই লাখ টন উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের বাজার নষ্ট হয়; যা প্রতিবেশী দেশের দখলে চলে যায়। আবার বাংলাদেশে যখন একে একে পাটকল বন্ধ হয়, ঠিক তখন বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ভারতের সীমান্তে অসংখ্য পাটকল গড়ে ওঠে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’-এর বাস্তবায়নসংক্রান্ত সভায় এসব কথা বলেন। পাট অধিদফতর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট মানইে দেশপ্রেম, পাট মানেই দেশাত্মবোধ। আমাদের পাট একসময় বাংলাদেশের পরিচয় বহন করত। এখন আমরা পাটের সে ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছি। পরিবেশ ও পাট রক্ষায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি- নির্ধারিত এ ছয়টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

মির্জা আজম বলেন, নির্ধারিত পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহারের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করলে এলসি বাতিল করা হবে, খাদ্য বিভাগ মিলারদের লাইসেন্স বাতিল করবে।

দেশে প্লাস্টিক কারখানাও একটি বড় সেক্টর। তারা এ ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। কিন্তু প্রশাসনের শতভাগ প্রস্তুতি থাকলে তারা বিরোধিতা করতে সাহস করবে না।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, বস্ত্র ও পাট সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিজেএমসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হুমায়ুন খালেদ (অব.) এবং পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মুয়াজ্জেম হোসাইন। আরও বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল।

মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী খুলনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকল, স্থাপনা ও সম্পত্তি পরিদর্শন করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর