সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
খাদ্য অধিদফতরে দুর্নীতি

যুগ্ম ও উপ-সচিবসহ ৫৩ জনকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্য অধিদফতরে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব, দুজন উপ-সচিব, খাদ্য অধিদফতরের একজন পরিচালকসহ মোট ৫৩ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হামিদুল হাসান সংশ্লিষ্টদের কাছে তলবি নোটিস পাঠান। নোটিসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পৃথকভাবে হাজির হতে বলা হয়েছে।

তলবকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, খাদ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির (ডিপিসি) সভাপতি (বর্তমানে পরিচালক-সংগ্রহ) ইলাহী দাদ খান, খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব (বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব) নাসিমা বেগম, সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমেদ ও সিনিয়র সহকারী সচিব রোকেয়া খাতুন।

এ ছাড়া ডিপিসির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আইউব আলী, সাবেক সিস্টেম অ্যানালিস্ট আসাদুর রহমান, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসেন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেটাবেজ অ্যাডমিন আবুল কাসেম।

পৃথক নোটিসে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেওয়া ৪৪ খাদ্য পরিদর্শককেও তলব করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক বাদী হয়ে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খাদ্য অধিদফতরের তৃতীয় শ্রেণির ১০টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৫৫২টি শূন্য পদ পূরণের জন্য ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রার্থীদের আবেদনপত্র তালিকাভুক্ত করাসহ ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত যাবতীয় কাজের জন্য তথ্যপ্রযুক্ত প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টসের (ডিপিসি) সঙ্গে অধিদফতরের চুক্তি হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অধিদফতরের বিভাগীয় বাছাই কমিটির পাঁচজন সদস্য ও ডিপিসির চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবৈধভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন। পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশে কম্পিউটার সফটওয়্যার পরিবর্তন করে মেধাবীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের ফলাফলে অধিক নম্বর প্রাপ্তি দেখিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর