শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
শাহজালাল বিমানবন্দর

এক মণ সোনা মিলল এমিরেটসের ফ্লাইটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে বিস্ফোরক তল্লাশি করতে গিয়ে মিলেছে প্রায় এক মণ সোনা। র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড তল্লাশি চালিয়ে এই সোনার সন্ধান পায়। পরে ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ দল ওই উড়োজাহাজের পাঁচটি সিট ও দুটি টয়লেট থেকে ৩৭ কেজি ওজনের ৩২০টি সোনার বার উদ্ধার করে। গতকাল এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে ঢাকায় এসে অবতরণ করে সন্ধ্যায়। উদ্ধার করা সোনার মূল্য ১৯ কোটি টাকা বলে কাস্টমস জানিয়েছে। র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, দুবাই থেকে আসা ওই ফ্লাইটের একজন যাত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে নিয়োজিত র‌্যাব কর্মকর্তাদের তথ্য দিয়ে বলেন, উড়োজাহাজের ভিতরে কোনো বিস্ফোরক বা কোনো অবৈধ কিছু থাকতে পারে। ওই যাত্রীর যাত্রাপথের নানা সন্দেহের বর্ণনা থেকে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চারটি প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে এমিরেটসের উড়োজাহাজটিতে অভিযান চালায়।

এ সময় একটি সিটের কাছে গিয়েই ডগ স্কোয়াডের ওই কুকুরগুলো কাঁপতে থাকে। খুঁজে বের করার চেষ্টা করে গোপন কিছু। এরপরই স্কোয়াডের কর্মকর্তারা সিটের নিচে খুলেই দেখতে পান স্কচটেপে মোড়ানো সোনা। তবে সেখানে ওই সময় কোনো যাত্রী ছিল না।

ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহীদুজ্জামান সরকার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জানান, ফ্লাইট থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উড়োজাহাজে তল্লাশি চালায়। এ সময় র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডও উড়োজাহাজের ভিতর বিস্ফোরক দ্রব্য তল্লাশির জন্য অভিযান চালায়। ডগ স্কোয়াড যাত্রীদের সিটের নিচে স্কচটেপ মোড়ানো সোনার সন্ধান পায়। কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ দল এ সময় পুরো উড়োজাহাজ তল্লাশি চালালে পাঁচটি সিট এবং দুটি টয়লেট থেকে ৩২০টি সোনার বার উদ্ধার করে। তবে এই সোনার মালিক কে, তা জানা যায়নি। এসি শাহীদুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের নামের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এমিরেটস কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছে। যে কারণে এই উড়োজাহাজটি আটক করা হচ্ছে না।

র‌্যাব জানায়, তল্লাশি অভিযানে অংশ নেওয়া কুকুরগুলো যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা। এরা মূলত মেটাল জাতীয় বা বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য শনাক্ত করতে সক্ষম। সোনা উদ্ধারের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেগুলো পরে ঢাকা কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এমিরেটস এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা এ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও একাধিক উড়োজাহাজে সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় সোনার চোরাচালান ধরা পড়ে।

সর্বশেষ খবর