বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত : আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকার যে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল, তা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি ভারত প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আড়াই লাখ ভারতীয় সেনার অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শিল্পমন্ত্রী সোমবার কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব’ এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এ উৎসবের আয়োজন করে। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি শরণার্থীদের লালন-পালনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছিল। সে সময় ভারত ৬৯টি বেজ ক্যাম্প ও ১০০ উপ-বেজ ক্যাম্পে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। যুদ্ধকালে বিশ্বের জনমতকে বাংলাদেশের অনুকূলে আনার জন্য ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। তিনি বিশেষ কূটনৈতিক তত্পরতা চালিয়ে বিভিন্ন দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা সেদিন বাংলাদেশের জনগণের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তারা শরণার্থীদের নিজ পরিবারের সদস্যদের মতো আশ্রয় দিয়ে নিজেদের খাবার ভাগ করে খাইয়েছিল। কলকাতার থিয়েটার রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী অফিসটি বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।

পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক, বুটিক, হস্ত ও কারু শিল্প, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক ও মেলামাইন সামগ্রী। থাকছে কাচ্চি বিরিয়ানী, ভুনা খিচুড়ি, পিঠা-পুলি, সন্দেশসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি মুখরোচক খাবার।  এছাড়া, প্রতিদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর