শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘আবদুর রাজ্জাক ছিলেন গণমানুষের নেতা’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আবদুর রাজ্জাক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের এক বলিষ্ঠ সৈনিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই আদর্শে অবিচল ছিলেন তিনি। কখনো আদর্শের সঙ্গে আপস করেননি। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা। তার রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন সবার জন্য অনুকরণীয়। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আবদুর রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। আবদুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কদ্বীপে রক্তদান ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, মোজাম্মেল হক এমপি, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, পীর হাবিবুর রহমান ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।

মরহুম জননেতা আবদুর রাজ্জাকের দীর্ঘকালের সহকর্মী তোফায়েল আহমেদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে একচুলও নড়েননি। মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন, আমি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারব? তার স্বপ্নকে পূরণ করেছেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবের কারণেই খালেদা জিয়া এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, আজ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হচ্ছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল, সে আন্দোলনে আবদুর রাজ্জাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জননেতা আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে একাধিক গবেষণামূলক প্রকাশনা তৈরি করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার। তাহলে তরুণ প্রজন্ম বিচক্ষণ এই রাজনীতিক সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। সৈয়দ আশরাফ স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি একজন পরিশ্রমি নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের ময়মনসিংহ অঞ্চলের কমান্ড দিয়েছেন এবং আমরা তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি। তাকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর