কার স্বার্থ রক্ষায় পরিবেশ ধ্বংস করে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে— এমন প্রশ্ন তুলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি ড. রাশেদা কে চৌধুরী। গতকাল বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সুলেমান হলে ‘রাতারগুল জলারবন ও সিলেট বিভাগের বনাঞ্চল নিয়ে সুশীল সমাজের উদ্যোগ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সংস্থা (বেলা) ও বাপা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তিনি বলেন, সুন্দরবনের রামপালে পরিবেশ ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানে বিকল্প প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সরকার তা শুনেনি। কার স্বার্থে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে?
তিনি বলেন, সিলেটে অবৈধভাবে ১৩০০ স্টোন ক্রাশার মেশিন চালানো হচ্ছে। আদালত এগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তবু বন্ধ করা হচ্ছে না। এসব স্টোন ক্রাশার মেশিন মালিকদের হাত কতটুকু লম্বা?
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বেলার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অতীতে ঢাকা থেকে সিলেট আসতে অনেক বড় বড় গাছ চোখে পড়ত। কিন্তু এখন ওইসব গাছ আর নেই। গাছ সংরক্ষণে কোনো আইনও দেশে নেই। তিনি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তাহলে দেশে বনাঞ্চল কমছে কেন? ওই প্রকল্পগুলোর কাজ সঠিকভাবে হলে বনাঞ্চল কমার কথা ছিল না।
