মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
সংসদে দুটি বিল উত্থাপন

টোলঘরের কাছে জটলার জরিমানা ১০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

টোলঘরের কাছে জটলা সৃষ্টি করলে ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড আরোপ এবং বিধি ভঙ্গের দায়ে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করার বিধান রেখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিল গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চা বোর্ড’ গঠন ও বোর্ডকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে চা আইন, ২০১৬। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের দশম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ‘বাংলাদেশ চা বোর্ড’ বিলটি উত্থাপন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

পরে বিল দুটি পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। সেতু কর্তৃপক্ষের বিলের ধরা ২৮-এ বলা হয়, সেতু, টানেল টোল সড়ক বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোনো স্থাপনায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, প্রাচীর, বেড়া, চিহ্ন, প্রতীক বা সংকেত ধ্বংস বা ক্ষতি করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ধারা ২৮-এর অধীনে অপরাধ সংগঠন করলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে। উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এবং ২০০৯ সালে নাম  যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ২০০৯-এর কার্যকারিতা লোপ পায়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেতু, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও বিধান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলো।

চা বোর্ড বিলে বলা হয়েছে, চা শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আইন অনুযায়ী ‘ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীনে কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে। এই আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, যেক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাবে।

১৯৮৬ সালের ১ মার্চ ‘দ্য টি (সংশোধন) অর্ডিনেন্স, ১৯৮৬’ জারি করা হয়। আদালতের রায়ের ফলে নতুন বিল প্রণয়ন প্রয়োজন হয়।

সর্বশেষ খবর